আগস্ট ১২, ২০১৮
মণিরামপুরে ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ বন্ধে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছে। রবিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলার চালুয়াহাটী গ্রামের বিল্লাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি পেশায় একজন কৃষক। ৪০ বছর ধরে আমার নিজ জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। স¤প্রতি আমিসহ আমার গ্রামে ও ত্রিপুরাপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষকদের কৃষি জমির পাশে ২০৩নং মৌজার, ১৫৬১, ১৫৬২,১৫৬৩, ১৫৬৪.১৫৭১.১৫৭২, ১৫৬০. ও ১৯০ মৌজার ১১৩.২৫২.২৬১ ব্যক্তি মালিকাধীন জমি লীজ নিয়ে উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের হাবিব সানার ছেলে মহিদুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র ছাড়াই একটি ইট ভাটা নির্মাণের কর্যক্রম শুরু করেছেন। কিন্তু ওই ইটভাটা জমি সংলগ্ন আমাদের গ্রামসহ ত্রিপুরাপুর গ্রামের গরীব কৃষকদের ফসলি জমি আছে। ইট ভাটা নির্মাণ করলে ওই জমিতে আমরা আর চাষাবাদ করতে পারব না। ২০৩নং চালুয়াহাটি ও ১৯০নং ত্রিপুরাপুর মৌজায় এলজিইডি রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে গা ঘেষে মহিদুল ইসলাম তার ইট ভাটা হাবিব ব্রিকসের কার্যক্রম শুরু করেছে। যার ৩৫ মিটার উত্তর দিকে আ. আজিজ মোড়েলর বাড়িসহ মোট ৭৫টা বসত বাড়ি রয়েছে। এখন এই বসত বাড়িতে বসবাসরত মানুষ সংশয়ের মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করছে। এছাড়া নির্মাণাধীন ভাটার দক্ষিণ দিকে প্রায় ১০০ বসত বাড়ি রয়েছে। এসব পরিবারের মানুষ এখন নির্বাক হয়ে আছে। ওই ভাটার পাশে ত্রিপুরাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। তিনি লিখিত আরও বলেন, যে জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করতে কার্যক্রম চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণ কৃষি নির্ভর জমি। এই জমিতে বছরে তিন মৌসুমি ফসল আবাদ করে আসছে কৃষকরা। এছাড়া মহিদুল ইসলাম যাদের কাছ থেকে লিজ নিয়েছে তাদের সে লিজ নেয়ার সময় বলেছিলো ওইখানে সে ইটভাটা নির্মাণ করবে না। কিন্তু বর্তমানে সে তাদের হুমকি দিয়ে ঐ স্থানেই তার ভাটা নির্মাণ করতে যাচ্ছে। তাছাড়া ওই নির্মাণাধীন ইটভাটা ফসলি জমির চার পাশে রয়েছে বিভিন্ন ফলের বাগান। যা ধ্বংসের আশংকা করা হচ্ছে। চালুয়াহাটী ও ত্রিপুরাপুর এই দুই মৌজার মধ্যদিয়ে একটি ছোট নালা রয়েছে। এই নালা দিয়ে ছয় গ্রামের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু ভাটা নির্মাণে নালাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা চলতি বর্ষা মৌসুমে জনপদ প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছি। এছাড়া বিদ্যালয় সংলগ্ন ইটভাটা নির্মাণে ভাটার গাড়ি চলাচলের কারণে স্কুল পড়–য়া ছোট ছোট ছেলে মেয়েসহ গ্রামবাসী নানা সমস্যার সম্মুখিন হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইটভাটা নির্মাণ বন্ধে জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 8,600,002 total views, 7,881 views today |
|
|
|